খতিয়ান ও সকল পর্চার ইতিবৃত্ত/History-of-Khatian-and-all-parcha-in-Bangladesh
খতিয়ান ও পর্চার ইতিবৃত্ত:
বাংলাদেশে জমির মালিকানা এবং সংক্রান্ত রেকর্ড রাখতে খতিয়ান এবং পর্চা ব্যবহার করা হয়। খতিয়ান এবং পর্চা জমির রেকর্ডের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যা জমির মালিকানা, সীমানা, দাগ নম্বর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করে। নিচে খতিয়ান এবং পর্চার বিবরণ দেওয়া হলো:
খতিয়ান:
খতিয়ান হল ভূমির মালিকানার রেকর্ড, যা সরকারের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত হয়। এটি জমির মালিকানার আইনি দলিল হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এতে জমির মালিক, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ থাকে।
খতিয়ানের ধরন:
সি.এস. (Cadastral Survey) খতিয়ান:
- প্রথম জরিপের সময় তৈরি করা হয়।
- প্রাচীন এবং মূল খতিয়ান হিসেবে বিবেচিত।
এস.এ. (Settlement Survey) খতিয়ান:
- পুনঃজরিপের সময় তৈরি করা হয়।
- পূর্ববর্তী খতিয়ানের সংশোধিত সংস্করণ।
আর.এস. (Revisional Settlement) খতিয়ান:
- সর্বশেষ পুনঃজরিপের সময় তৈরি করা হয়।
- বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে প্রচলিত।
পর্চা:
পর্চা হল জমির খতিয়ানের একটি কপি বা অনুলিপি, যা সাধারণত জমির মালিক বা অন্যান্য আগ্রহী ব্যক্তিরা সংগ্রহ করে। পর্চা খতিয়ান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এবং এটি জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
পর্চার ধরন:
সার্টিফাইড কপি পর্চা:
- ভূমি অফিস বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা সত্যায়িত কপি।
- আইনগত ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন।
অনানুষ্ঠানিক কপি পর্চা:
- সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নেওয়া হয়।
- আইনগত মান্যতা কম।
খতিয়ান এবং পর্চা সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
আবেদন প্রক্রিয়া:
- ভূমি অফিসে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হয়।
- অনলাইনে ভূমি সেবা পোর্টাল থেকেও আবেদন করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র, জমির দলিল, পুরাতন খতিয়ান ইত্যাদি জমা দিতে হয়।
ফি পরিশোধ:
- নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়। ফি-এর পরিমাণ আবেদন করা খতিয়ান বা পর্চার ধরন এবং জমির পরিমাণ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
নথিপত্র সংগ্রহ:
- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট খতিয়ান বা পর্চা সংগ্রহ করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা:
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর:
- ভূমি রেকর্ড সংরক্ষণ ও জরিপ পরিচালনা করে।
- ঠিকানা: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, তেজগাঁও, ঢাকা।
উপজেলা ভূমি অফিস:
- স্থানীয় পর্যায়ে জমির খতিয়ান ও পর্চা প্রদান করে।
- আপনার নিকটস্থ উপজেলা ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
অনলাইন রিসোর্স:
- ভূমি মন্ত্রণালয়: ভূমি মন্ত্রণালয়
- ডিজিটাল ভূমি সেবা: ডিজিটাল ভূমি সেবা
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমির খতিয়ান ও পর্চা সংগ্রহ করা যায়, যা জমির মালিকানা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিশ্চিত করতে সহায়ক।
-------------------------------------------
বাংলাদেশে জমির মালিকানা ও সংক্রান্ত তথ্যের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত পর্চা (রেকর্ড অব রাইটস) বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। প্রতিটি পর্চার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার রয়েছে। নিচে পর্চার প্রকারভেদ এবং তাদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:
পর্চার প্রকারভেদ:
সি.এস. (Cadastral Survey) পর্চা:
- বিবরণ: এটি প্রথম মৌজা জরিপের সময় তৈরি করা হয়। এটি মৌজা এবং দাগ নম্বর ভিত্তিক ভূমির প্রাথমিক রেকর্ড।
- বৈশিষ্ট্য: জমির মালিক, জমির প্রকার, পরিমাণ, সীমানা ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ থাকে।
- ব্যবহার: প্রাচীন রেকর্ড হিসেবে জমির মালিকানা প্রমাণে ব্যবহৃত হয়।
এস.এ. (Settlement Survey) পর্চা:
- বিবরণ: পুনরায় ভূমি জরিপের সময় তৈরি করা হয়। এটি সি.এস. পর্চার সংশোধিত সংস্করণ।
- বৈশিষ্ট্য: সি.এস. পর্চার তথ্যগুলির সাথে বর্তমান মালিকানার পরিবর্তনগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- ব্যবহার: প্রাথমিক পর্চার বিবর্তন এবং মালিকানার পরিবর্তন প্রমাণে ব্যবহৃত হয়।
আর.এস. (Revisional Settlement) পর্চা:
- বিবরণ: সর্বশেষ পুনঃজরিপের সময় তৈরি করা হয়। এটি এস.এ. পর্চার পরবর্তী সংস্করণ।
- বৈশিষ্ট্য: আর.এস. পর্চায় সর্বশেষ মালিকানা, জমির পরিমাণ, সীমানা ইত্যাদি আপডেট থাকে।
- ব্যবহার: বর্তমান জমির মালিকানা ও সীমানা প্রমাণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
বি.এস. (Bangladesh Survey) পর্চা:
- বিবরণ: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নতুন জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।
- বৈশিষ্ট্য: আর.এস. পর্চার পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে ব্যবহার হয়।
- ব্যবহার: সর্বশেষ মালিকানা এবং জমির আপডেট তথ্য প্রমাণে ব্যবহৃত হয়।
মৌজা পর্চা:
- বিবরণ: এটি একটি নির্দিষ্ট মৌজার জমির মালিকানা এবং অন্যান্য তথ্য ধারণ করে।
- বৈশিষ্ট্য: মৌজার নাম, দাগ নম্বর, মালিকের নাম, জমির পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
- ব্যবহার: জমির সুনির্দিষ্ট সীমানা এবং মালিকানা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়।
পর্চা সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
আবেদন:
- সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে বা অনলাইনে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হয়।
- আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, জমির দলিল, পুরাতন খতিয়ান ইত্যাদি সংযুক্ত করতে হয়।
ফি পরিশোধ:
- নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়। ফি-এর পরিমাণ আবেদন করা পর্চার ধরন এবং জমির পরিমাণ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
যাচাই ও অনুমোদন:
- জমি অফিস আবেদন যাচাই করে এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন প্রদান করে।
পর্চা সংগ্রহ:
- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পর্চা সংগ্রহ করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও যোগাযোগ:
- ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর:
- ভূমি রেকর্ড সংরক্ষণ ও জরিপ পরিচালনা করে।
- ঠিকানা: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, তেজগাঁও, ঢাকা।
- উপজেলা ভূমি অফিস:
- স্থানীয় পর্যায়ে জমির খতিয়ান ও পর্চা প্রদান করে।
অনলাইন রিসোর্স:
- ভূমি মন্ত্রণালয়: ভূমি মন্ত্রণালয়
- ডিজিটাল ভূমি সেবা: ডিজিটাল ভূমি সেবা
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমির বিভিন্ন ধরনের পর্চা সংগ্রহ করা যায়, যা জমির মালিকানা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিশ্চিত করতে সহায়ক।
-----------------------------------------------
ভূমিসেবা
নামজারি সেবা
ভূমি উন্নয়ন কর সেবা
খাসজমি বন্দোবস্ত সেবা
অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সেবা
সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা সেবা
অন্যান্য ভূমিসেবা
খসড়া আবেদন
0 Comments
Thanks for your Comment-Land Networking BD